মনিটর সংক্রান্ত সমস্যা

                                   
সমস্যাঃ কিছুদিন পর পর মনিটরটির স্কিন চেপে যায়, না হয় বেড়ে যায়। আবার মাঝে মাঝে কালো হয়ে যায়। আর যেমনই হউক না কেন মনিটরে একটু আঘাত করলে আবার ঠিক হয়ে যায়?
সমাধানঃ
সম্ভবত মনিটরের সার্কিট ড্রাই সোল্ড হয়েছে। এখন সার্কিটের ড্রাই সোল্ড গুলো চিহ্নিত করে সোল্ডারিং করতে হবে।
সমস্যাঃ মনিটরে সিগন্যাল আসে ÔNo signal Input’ পিসির ছোট ফ্যানটি ঘুরতে থাকে কিন্তু ON হয় না বরং একটু পড়ে সবুজ লাইট ও লাল লাইট দুইটিই নিভে যায় কিন্তু সিডি বক্সটার নিচের ছোট সবুজ লাইট টি জ্বলতে থাকে। আমার কম্পিউটারটির অপারেটিং সিস্টেম Windows XP। এখন কম্পিউটার টি অন করতে হলে কি করব?
সমাধানঃ পিসিটি নাড়ার পরে হয়ত সিপিউতে সংযুক্ত মনিটরের আউটপুট ক্যাবল কর্ডটি ঢিলা হয়ে গেছে। ক্যাবলটি খুলে আবার ঠিক ভাবে স্থাপন করুণ। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে, নতুবা ক্যাসিংয়ের ঢাকনাটি খুলে এজিপি কার্ডটি চাপ দিয়ে মাদার বোর্ডে ভালভাবে বসিয়ে নিন।
সমস্যাঃ কম্পিউটারের স্ক্রীনের কালার পরিবর্তন ঘটে। স্ক্রীন মাঝে মাঝে সবুজ অথবা হলুদ বরণ হয়ে যায়। লাল কালার সম্পূর্ণ কালো হয়ে যায়। অনেক সময় আপনা – আপনিই স্বাভাবিক কালার চলে আসে। আবার মাঝে মধ্যে মনিটরের উপরে জোরে অথবা আসতে আসতে থাপ্পর দিলে রিয়েল কালার চলে আসে। কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও টি ভি কার্ডে সংযোগ আছে। তাতে টি ভি চ্যানেলেও কালারের একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ মনিটরের সকল ফাংশনেই এই কালার সমস্যা। আমার স্যামসাং মনিটরের ওয়ারেন্ট মেয়াদ শেশ।ছাত্র মানুষ, তাই সহজে যাতে এ সমস্যা হতে পরিক্রান পেতে পারি দয়া করে সে বিষয়ে সুপরামর্শ দিয়ে বাধিত করবেন।
সমাধানঃ মনে হচ্ছে মনিটরের সার্কিটের ভিডিও সেকশন ডি সোল্ডারিং হয়েছে। আশা করি সোল্ডারিং করে দিলে মনিটর ঠিক হয়ে যাবে। মনিটর ঠিক করার সময় বেইস বোর্ডে টাচআপ করে দিতে হবে। এ কাজ গুলো কোনো মনিটর বিশেষজ্ঞ দিয়ে করাতে পারেন।
সমস্যাঃ মনিটরে পাওয়ার আসে না?
সমাধানঃ প্রথমেই মনিটরের সাথে সংযুক্ত পাওয়ার ক্যাবল, মাল্টিপ্লাগ এবং পাওয়ার সুইচটি চেক করতে হবে। মনিটরের পাওয়ার সেকশনের ফিউজ, ক্যাপাসিটর, ট্রানজিষ্টর,রেজিষ্টর ইত্যাদি কোন পার্স পুড়ে গেছে কিনা বা নষ্ট হয়েছে কিনা তা মিটার দিয়ে ভালোভাবে চেক করতে হবে এবং পুড়ে যাওয়া ও নষ্ট হয়ে যাওয়া পার্স গুলো পরিবর্তন করতে হবে।
সমস্যাঃ পাওয়ার আসে কিন্তু ডিসপ্লে আসে না?
সমাধানঃ মনিটরের সাথে সংযুক্ত  VGA Connector- টি এজিপি কার্ড এর সাথে সঠিক ভাবে লাগানো রয়েছে কিনা তা প্রথমেই লক্ষ্য করতে হবে। সিস্টেম উইনিট-এ কোন সমস্যা আছে কিনা তাও চেক করতে হবে। প্রয়োজনে মনিটর অন্য কোন পিসি তে লাগিয়ে দেখা যেতে পারে।
সমস্যাঃ মনিটর এর স্কিনের কালার  পরিবর্তন হয়ে যায়?
সমাধানঃ প্রথমে এজিপি কার্ডের সাথে সংযুক্ত ভিজিএ কানেক্টরটি নেড়ে-চেড়ে অথবা খুলে আবার ভালো করে লাগিয়ে দেখতে হবে। এতে কালার পরিবর্তন হয় কি না। যদি পরিবর্তন হয় তবে এই ভিজি-এ কানেক্টরটি বদলাতে হবে। এছাড়াও প্যানেল বোর্ডে ড্রাই সোল্ড থাকতে পারে।
পিটি কোয়েল চেক করতে হবে। দিজি কনট্রোলিং করে দেখতে হবে। কালার আইসি নষ্ট থাকলে পরিবর্তন করতে হবে।
সমস্যাঃ স্কিনের চার পাশের বিশেষ করে কোনায় বিভিন্ন রকম কাল্র দেখা যায়?
সমাধানঃ মনিটর এর পাশে কোন ম্যাগনেটিক কিছু রাখা থাকলে এই ধরণের সমস্যা বেশী দেখা যায়।
স্পীকার এবং ম্যাগনেটিক জাতীয় কোন যন্ত্রাংশ মনিটর এর পাশে রাখা থাকলে সরিয়ে ফেলতে হবে। পিটি কয়েল চেক করতে হবে। ডিজি কনট্রোলিং করা যেতে পারে। এছাড়া মনিটর খুলে ডিসপ্লে উইনিটটি ভালো করে চেক করতে হবে। যেমনঃ প্রথমে এফ  এইচ টি আউট হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। ইয়োক কয়েল কয়েল, মেমোরী রিজারভার আই সি চেক করতে হবে। প্যানেল বোর্ডে হিটার বোল্টেজ আছে কিনা দেখতে হবে। ফ্লাই ব্যাক এ- ফোকাস কম থাকলে বাড়াতে হবে।
সমস্যাঃ হঠাৎ পাওয়ার অফ হয়ে যায়?
সমাধানঃ প্যানেল বোর্ডটিতে ড্রাই সোল্ড আছে কিনা দেখতে হবে। আউটপুট টানজিষ্টর লুজ থাকতে পারে। ভিজিএ কানেক্টর লুজ থাকতে পারে। ইয়োক কয়েল সর্ট থাকতে পারে। ফ্লাই ব্যাক চেক করতে হবে।
সমস্যাঃ মনিটর এর স্কিনটি ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়, ফলে কোন পিকচার দেখা যায় না?
সমাধানঃ ড্রাই সোল্ড থাকতে পারে। ফ্লাই ব্যাক থেকে আলো বাড়াতে হবে।
সমস্যাঃ মনিটর টি অন করার পর স্কিনে এর আলো ঘোলা থাকে কিন্তু কিছুক্ষণ পর নরমাল হয়?
সমাধানঃ প্যানেল বোর্ডে – এ সমস্যা থাকতে পারে।
প্যানেল সার্কিটটি চেক করতে হবে। ফ্লাই ব্যাক টিউংনি করতে হবে।
সমস্যাঃ মনিটর অন করার পর পিকচার আসে না কিন্তু শব্দ হয় না?
সমাধানঃ ফিটার ক্যাপাসিটরে সমস্যা থাকতে পারে। রেকটিফিকেশন সেকশন চেক করতে হবে। ফ্লাইব্যাক টি চেক করতে হবে।
সমস্যাঃ মনিটর টির স্কিন ছোট হয়ে গেছে  অথবা চারপাশে কালো হয়ে গেছে?
সমাধানঃ ভিতরে ড্রাই সোল্ড থাকতে পারে। প্যানেল বেইস আইসি,ভারটিক্যাল আইসি চেক করা যেতে পারে। ভারটিক্যাল- হরিজেন্টাল এলাইনমেন্ট এডজাস্ট করতে হবে। ভারটিক্যাল ক্যাপাসিটর আইসি চেক করতে হবে। স্কিন সব সময় একই রকম কালার দেখা যায়, যেমনঃ হলুদ বা লাল প্যানেল বেইস চেক করতে হবে। ভিজিএ কানেক্টর নষ্ট থাকতে পারে। প্যানেল সার্কিট চেক করতে হবে। ক্রমা সেকশনটি চেক করা যাতে পারে।
সমস্যাঃ মনিটর এর আলো হঠাৎ বাড়ে এবং কমে?
সমাধানঃ প্যানেল বোর্ডটি চেক করতে হবে। ফ্লাইব্যাক চেক করতে হবে। আউটপুট সেকশন ভালো ভাবে দেখতে হবে।
সমস্যাঃ মনিটর এর স্কিনে আলো ঢেঊয়ের মত উপড়ে উঠতে থাকে?
সমাধানঃ যুদি সমস্যা টি মেইন পাওয়ার থেকে হয় তবে এস টি আর, জিনার, ক্যাপাসিটর, রেজিষ্টর চেক করতে হবে। ক্যাপাসিটর এ সমস্যা থাকতে পারে। ভোল্টেজ কম বেশি থাকার কারণে হতে পারে।
সমস্যাঃ মনিটর টি কিছুক্ষণ চলার পর ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যায়?
সমাধানঃ প্যানেল বেইস এ সমস্যা থাকতে পারে। ক্রমা রেজিষ্টর পিনটি চেক করতে হবে। ফ্লাইব্যাক চেক করতে হবে। পিকচার টিউব এ সমস্যা থাকতে পারে।
সমস্যাঃ মনিটর অফ করার সাথে সাথে স্কিনের মধ্যে একটি বিন্দুর মতো আলো দেখা যায়?
সমাধানঃ ভারটিক্যাল আউটপুট সেকশন –এ ক্যাপাসিটর গুলো চেক করতে হবে।
সমস্যাঃ মনিটর অন করার পর স্কিনে – এ সুতার মত অনেক গুলো লাইন উপরে বা নীচে উঠা নামা করতে থাকে?
সমাধানঃ এ পি সি কানেক্টর চেক করতে হবে। ভি জি এ কানেক্টর এর ক্যাবলটি চেক করতে হবে। রেজুলেশন সাপোর্ট চেক করতে হবে। ফ্লাইব্যাক এর লাইন বেশি দেওয়া থাকলে কমাতে হবে।